
অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে এই উদ্যোগকে একটি সরকারের সীমিত মেয়াদের পদক্ষেপ হিসেবে না দেখে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে স্থায়ী করতে হবে। দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা এবং জনগণের অর্থনৈতিক অধিকার সুরক্ষার জন্য বিদেশে পাচার হওয়া প্রতিটি টাকার হিসাব নেয়া এবং সম্ভব হলে তা ফেরত আনার বিকল্প নেই। এটি শুধু অর্থনৈতিক দায় নয়, নৈতিক ও রাষ্ট্রিক কর্তব্যও বটে। এই পথ দীর্ঘ হতে পারে কিন্তু সুসংগঠিত পরিকল্পনা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা থাকলে বাংলাদেশের হারানো সম্পদ ফেরত আনা অসম্ভব নয়; বরং আজকের সাহসী পদক্ষেপ ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ উন্মোচন করতে পারে। ড. মো: মিজানুর রহমান [প্রকাশ : নয়াদিগন্ত, ১৯ জুন ২০২৫]