কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

রোহিঙ্গা সমস্যা ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন

ড. মাহফুজ পারভেজ [সূত্র : যুগান্তর, ২০ জুলাই ২০২৫]

রোহিঙ্গা সমস্যা ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন

কেউ জানে না, বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের সামনে অপেক্ষা করছে কেমন ভবিষ্যতের হাতছানি। কত দিন তারা মানবেতর জীবনের জ্বালা সহ্য করবে ক্যাম্পের ঘেরাটোপে? কবে তারা ফিরে যেতে পারছে তাদের স্বদেশ, জন্মভূমির সুমৃত্তিকায়? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা খুবই জরুরি।

 

 

প্রায় আট বছর পেরিয়ে গেছে, যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আজ তাদের সংখ্যা কক্সবাজারের কুতুপালংসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির স্থাপনকারী দেশে। গত ৮ বছরে প্রায় ৪ লাখ জনসংখ্যা বেড়েছে ক্যাম্পগুলোতে। ক্যাম্পগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ১৩০-১৩৫ জন অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ছয়টি শিশুর জন্ম হচ্ছে, যা বছরে প্রায় ৫০ হাজার। ফলে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

 

 

এ দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য কূটনৈতিক বৈঠক, চুক্তি এবং আলোচনার পরও প্রত্যাবাসনের কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। কেন? কারণ, কাগজে-কলমে যে ‘সমাধান’-এর কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই-এটাই তুলে ধরেছে সাম্প্রতিক বাস্তবতা।

 

একদিকে মিয়ানমার বলছে, তারা ‘বিতাড়িত জনগণ’কে ফেরত নিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, বাংলাদেশ চায় এ দীর্ঘস্থায়ী বোঝা হালকা হোক। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে পক্ষ রোহিঙ্গারা-তারা নিজেরাই এ প্রত্যাবাসনে অরাজি। তাদের সরল বক্তব্য: ‘আমরা অধিকার ছাড়া, নিরাপত্তা ছাড়া, নাগরিকত্ব ছাড়া ফিরব না।’

 

নির্যাতনের স্মৃতি নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তাদের বাস্তবতার দিক থেকে হয়তো ঠিকই বলছে। কারণ, যে প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার কথা বলা হচ্ছে, তার ভিত্তি হলো ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড (এনভিসি)-এমন এক পরিচয়পত্র, যা রোহিঙ্গাদের ‘বিদেশি’ হিসাবে চিহ্নিত করে। এ কার্ড তাদের মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। বরং এটিই তাদের বৈধভাবে বঞ্চিত করার এক আইনগত উপায়। তদুপরি, আরও রয়েছে ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন-যা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ পুরোপুরি বন্ধ করে রেখেছে।

 

নাগরিক অধিকার ছাড়াও নিরাপত্তার প্রশ্নটিও অত্যন্ত গুরুতর। রাখাইন রাজ্যে এখনো যুদ্ধ চলছে। ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে সেখানে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। বহু গ্রাম জনশূন্য, অনেক অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। আর আগের গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার, এ অবস্থায় এখনো দূরঅস্ত।

 

 

এ পরিস্থিতিতে ‘স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন’-এ শব্দগুলো বাস্তবে কতটা অর্থবহ ও বিশ্বাসযোগ্য? প্রসঙ্গত, যেসব ‘পাইলট প্রকল্প’ বা ‘মানবিক করিডোর’-এর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো অধিকাংশ সময়ই প্রতীকী উদ্যোগ। প্রকৃতপক্ষে এগুলোর অনেকটাই রাজনৈতিক প্রদর্শনী। নাগরিকত্ব, জমির অধিকার, নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা ছাড়া এসব শুধুই একরকম মরীচিকা।

 

 

সামগ্রিক বিবেচনায়, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে জরুরি ও চ্যালেঞ্জিং ইস্যু। আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাসের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে এত বড় শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে বহন করা বাস্তবসম্মত নয়। অপরদিকে, মিয়ানমারের সরকার আন্তর্জাতিক চাপে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে চায়। কিন্তু এ সংকট সমাধানে আঞ্চলিক জোট যেমন আসিয়ান বা বিমসটেক-তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না।

 

 

মূল সমস্যা হচ্ছে, শুধু চুক্তি বা বক্তৃতা দিয়ে এ সংকটের সমাধান হবে না। একটি জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করে, তাদের পরিচয় অস্বীকার করে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত না করে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া যাবে কিনা, এসব প্রশ্নেরও সুরাহা করতে হবে। ফলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচারের বিষয়টিও যুক্ত হওয়া আবশ্যক। রোহিঙ্গাদের তাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় অংশ নিতে দিতে হবে। নাগরিকত্ব আইন সংস্কার, আন্তর্জাতিক তদারকি এবং দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনা ছাড়া এ সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধানের সম্ভাবনা নেই।

 

 

রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় যা করছে তাতে সুফল মিলছে না। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের একার পক্ষে এ জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। মিয়ানমারের সরকার সমস্যার সৃষ্টিকারী। মুখে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও রোহিঙ্গার জন্য তারা কিছুই করবে না, এটা স্পষ্ট। এদিকে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল আরাকান বা রাখাইন রাজ্যে চলছে তুমুল সংঘাত। সেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। অতএব, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ও প্রত্যাবাসনের বিষয়টি এক পক্ষের হাতে নেই। বরং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও রাষ্ট্রীয় অস্পষ্টতার কারণে প্রত্যাবাসন মরীচিকা হয়ে যেতে পারে।

 

 

একইভাবে পাশের বড় দেশ চীন ও ভারতের ভূমিকা রয়েছে সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে। প্রয়োজন আছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ, নাগরিকত্ব, সম্পত্তির অধিকার অন্তর্ভুক্তকরণেরও। পাশাপাশি, গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি অব্যাহত চাপ এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দাবি করাও আবশ্যক। সার্বিকভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এককভাবে কারও পক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা এবং তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সামান্য।

 

 

অতএব, বাস্তব চিত্র হলো, নিঃস্ব, নাগরিকত্বহীন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে পড়ে আছে অমানবিক জীবনে। এত বিপুল জনসংখ্যার চাপে আশ্রয়দাতা বাংলাদেশও রয়েছে বিপদে। রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে; সামাজিক অসন্তোষ বাড়ছে; রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। বিশেষত, মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারের মতো ভয়ংকর সমস্যাগুলোর বিস্তার ঘটছে। যতই দিন যাবে, এসব সমস্যা ততই জটিল হবে এবং বৃদ্ধি পাবে। এ কারণেই রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধান ও তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এজন্য প্রয়োজন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকে মরীচিকা বা কল্পকথার বদলে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের আওতায় এনে সফল করার চেষ্টা চালানো।

 

 

এমন চেষ্টায় গতিবেগ বেড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর। অতীতের মতো সমস্যা জীবন্ত রাখার বদলে সমাধানের পথও সন্ধান করা হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ-নীতিনির্ধারকরা কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফে সরেজমিন দেখে গেছেন রোহিঙ্গা সমস্যার নানা দিক। স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে বর্তমান সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বলিষ্ঠ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, আরাকান আর্মি কর্তৃক রাখাইন অঞ্চল দখলে নেওয়ার পরে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি এখন শুধু মিয়ানমারের জান্তা সরকারের হাতে নেই। এতে আরাকান আর্মির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী বড় দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকাও প্রয়োজন।

 

 

রোহিঙ্গা সমস্যাটি বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশ এ নিয়ে নানা রকম পরিকল্পনা করেছে। এ পরিকল্পনার মধ্যে সমস্যাটিকে প্রলম্বিত করার মতলবও রয়েছে। তাতে দেশগুলোর নানা রকমের আর্থিক, বাণিজ্যিক ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে সবাই মানবিকতার ধ্বনি উচ্চারণ করলেও তারা কাজের কাজ কিছুই করছে না। তাদের পক্ষ থেকে কিছু আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমস্যার নানা দিক নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে বটে, তবে সুরাহার পথ বের করা সম্ভব হচ্ছে না। যাবতীয় সমস্যা সামলাতে হচ্ছে এককভাবে বাংলাদেশকে।

 

 

বস্তুত বাংলাদেশ যখন রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, সে পরিস্থিতিতে সমস্যার নানামুখী বিস্তার ঘটছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে স্থানীয়দের দূরত্ব ও দ্বন্দ্বের মতোই ক্যাম্পে আশ্রিতদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে স্বার্থ ও মতাদর্শভিত্তিক দল, উপদল। স্থানীয় রাজনীতির শক্তিবৃদ্ধিতে তাদের ব্যবহার করার কিছু প্রচেষ্টার কথাও জানা যাচ্ছে। বিশেষত, সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে বসবাসকারী বর্তমান বাংলাদেশি ও সাবেক রোহিঙ্গা, যাদের পূর্বপুরুষ বেশ আগে আরাকান থেকে উচ্ছেদ হয়ে এসেছিল, তারা একটি উগ্র গোষ্ঠীগত-জাতিগত উত্তেজনা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। তারা আগে আসা এবং সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রেসার গ্রুপ তৈরি করছে। যদি রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে না পারে, তাহলে তাদের ক্যাম্প ভেঙে লোকালয়ে বসবাস করার ব্যবস্থা করতে কাজ করছে এরা। এদের পেছনে রয়েছে দেশি ও বিদেশি অর্থদাতা চক্র।

 

 

এদিকে আরেকটি গোষ্ঠী মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠী সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত। কিন্তু বিতাড়িত রোহিঙ্গারা এ আন্দোলন বা সশস্ত্র লড়াইয়ে অনুপস্থিত। কখনো তাদের কিছু অংশ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কিংবা আরাকান আর্মির পক্ষে লড়াই করেছে। কোনো কোনো গ্রুপ চাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে সশস্ত্র পথে আরাকানের মাটি ফিরে পেতে। তারা স্লোগান দিয়েছে, ‘ভিক্ষা চাই না, মাটি চাই।’ এ প্রচেষ্টার সঙ্গেও দেশি-বিদেশি রোহিঙ্গা নেতারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

রোহিঙ্গাদের প্রয়োজন নিজেদের অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া, বাংলাদেশের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও অন্যান্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা। প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে নানা রকমের নতুন সমস্যা ও ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেসব সমস্যা বাংলাদেশকেই এককভাবে সামাল দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের কারণে বর্তমানে যে মানবিক, আর্থিক, সামাজিক বা পরিবেশগত সমস্যা চলছে, সামনের দিনগুলোতে এর সঙ্গে যদি রাজনৈতিক ও সামরিক সমস্যা যুক্ত হয়, তা বাংলাদেশের জন্য বিরাট বিপদ তৈরি করবে। পাশেই পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থির এবং নানাবিধ সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের কারণে নাজুক। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের ঘিরে রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সমস্যার সৃষ্টি হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হবে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

 

 

অতএব, রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি কেবল মানবিক ত্রাণ সহায়তার পরিসরে দেখার অবকাশ কম। দূরদৃষ্টিতে নিয়ে দেখলে বুঝা যায়, এ সমস্যার দীর্ঘসূত্রতা ও বিস্তারের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি ও বিভিন্ন মাত্রার চ্যালেঞ্জও অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। কাজেই প্রত্যাবাসন কেবল রোহিঙ্গাদের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্যও স্বস্তিদায়ক বিষয়।

প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ : চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়