কল করুন

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

১০০ নয় ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক । সূত্র : কালের কণ্ঠ, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫

১০০ নয় ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল নয়, বরং ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ করার পরিকল্পনা করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে : জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, আনোয়ারা অর্থনৈতিক অঞ্চল, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, কুষ্টিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল ও কুড়িগ্রামে ভুটানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

 

 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর মধ্যে প্রথম দফায় ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে পুরোপুরি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ ও রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর বাকি চারটি নিয়ে কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ৭ জানুয়ারি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়গুলো প্রকাশ করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইকোনমিক জোন স্থাপনের নামে সারা দেশে হাজার হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে ফেলে রেখেছে, যার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

 

২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদ ক্ষমতায় আসার এক বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে ১০০টি সরকারি ও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠা করে। এর পর থেকে বেজা এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ করছে। কর্মকর্তারা জানান, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বেজা অন্য যেসব অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ করেছে, সেগুলো আপাতত ওই অবস্থাতেই থাকবে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল আদৌ স্থাপন করা হবে কি না, সে বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

 

প্রথম পর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন সম্পন্ন করবে, তার মধ্যে রয়েছে : জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আনোয়ারা অর্থনৈতিক অঞ্চল। এর মধ্যে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চীনা অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। শ্রীহট্ট, জামালপুর, জাপানি ও জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এরই মধ্যে আংশিকভাবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

এই চারটিসহ প্রথম পর্যায়ের ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে পুরোপুরি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দেওয়া, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রথম ধাপে ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে বেজা। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ১০টি ইকোনমিক জোনে কবে নাগাদ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ দেওয়া হবে, তার একটি রোডম্যাপ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরবেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

 

বেজার একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, নির্ধারিত ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পের বাইরে সিরাজগঞ্জসহ দেশের আরো বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে যেসব কার্যক্রম চলমান, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সেগুলোর কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। অন্যান্য পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ভাগ্য নির্ধারণ করবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার।

 

 

মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তও নেবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হবে না বলে নির্দেশনা পেয়েছে বেজা।